পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছোট পদক্ষেপ, বড় সাফল্য

 রাহুল ছিলো একটা ছোট শহরের সাধারণ ছেলে। পড়াশোনায় মাঝারি, খেলাধুলাতেও খুব একটা ভালো না। কিন্তু ওর একটা স্বপ্ন ছিল – নিজে কিছু একটা করা, নিজের পায়ে দাঁড়ানো। একদিন রাহুল ঠিক করলো, ও প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় দেবে নতুন কিছু শেখার জন্য। সে শুরু করলো ইউটিউব দেখে গ্রাফিক ডিজাইন শেখা। প্রথমে অনেক ভুল হতো, অনেকে হাসতো, কিন্তু সে থামেনি। ৬ মাস পর ও ছোট ছোট ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলো। এক বছর পর, নিজের একটা ডিজাইন এজেন্সি খুলে ফেললো। আজ ওর ক্লায়েন্ট আছে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া থেকেও! উপসংহার: জীবনে সফল হতে বড় কিছু একদিনে করতে হয় না। ছোট ছোট পদক্ষেপই একদিন বড় সাফল্যে পরি ণত হয়।

“শেষ চেষ্টা” - জীবনের ছোট ছোট লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার গল্প

 সবাই বলে, “শেষ চেষ্টা কখনো বৃথা যায় না।” কিন্তু আমরা অনেক সময় হেরে গিয়ে ভাবি – “আর না, এবার ছেড়ে দিই।” আজ এমন একজন মানুষের গল্প বলব, যিনি জীবনের একেবারে কোণঠাসা অবস্থায়ও হাল ছাড়েননি। রবিন নামের এক যুবক ছিল। সে একটা ছোট্ট শহরে বড় হয়েছে। পড়াশোনায় ভালো, কিন্তু চাকরির জন্য অনেক জায়গায় অ্যাপ্লাই করেও কোথাও সুযোগ পাচ্ছিল না। বাড়ি থেকে চাপ, বন্ধুদের এগিয়ে যাওয়া দেখে ভেঙে পড়ছিল। একদিন সে ঠিক করল, শেষ বারের মতো চেষ্টা করবে – একটা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ ছিল কলকাতায়। ভোরবেলায় লোকাল ট্রেনে উঠল। ট্রেনের মাঝে হঠাৎ করে টিকিট চেকার এসে ফাইন করল – টিকিট ছিঁড়ে গেছে, তাও অর্ধেক। ইন্টারভিউ-এর টাকাও ওই ফাইনের মধ্যেই চলে গেল। এই অবস্থাতেও রবিন ফিরে আসেনি। সে অফিসে গিয়ে সোজা বলেছিল, “স্যার, আমার অবস্থা খারাপ, কিন্তু কাজের ইচ্ছা প্রচণ্ড। আপনারা সুযোগ দিলে আমি নিজেকে প্রমাণ করব।” অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সেদিনই তাকে এক মাসের ট্রায়ালে রাখা হয়। আজ সে ওই কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। শিক্ষা: জীবনে শেষ চেষ্টা বলেই কিছু নেই – যতক্ষণ আপনি থামেননি, আপনার চেষ্টা চলছেই। হাল ছেড়ো না, একদিন তোমার...

"হার মানা মানেই শেষ নয়" ব্লগ পোস্ট:

 রাত প্রায় ১২টা। ঢাকার এক গলির চায়ের দোকানে বসে অল্প বয়সী এক ছেলে ফোনে কথা বলছে—“ভাইয়া, ইন্টারভিউটা মিস হয়ে গেছে। আমার কিছু হবে না বোধহয়…” তার কণ্ঠে হতাশা, মুখে ক্লান্তি। পাশের এক ভদ্রলোক তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি হয়েছে?” ছেলেটা জানাল, গার্মেন্টসে সুপারভাইজারের চাকরির জন্য তিনবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। আজকেও ইন্টারভিউ মিস করেছে শুধুমাত্র রাস্তায় জ্যামের কারণে। ভদ্রলোক মৃদু হেসে বললেন, “আমি আজ যে বড় কোম্পানির ম্যানেজার, জানো আমি ওই একই চাকরির জন্য চারবার ব্যর্থ হয়েছিলাম? কিন্তু আমি থামিনি। চেষ্টা করতে করতে একদিন সুযোগ নিজেই এসে দরজায় কড়া নাড়ে।” ছেলেটার চোখে আশার ঝিলিক দেখা গেল। হয়তো সে বুঝল—হার মানা মানেই শেষ নয়, বরং নতুন শুরু। জীবনে সবাই ব্যর্থ হয়। কিন্তু যারা থেমে যায় না, তারাই একদিন জয়ী হয়। আজ যদি তোমার দিন খারাপ যায়, মনে রেখো—কাল আবার সূর্য উঠবেই। থেমে থেকো না। লড়াই চালিয়ে যাও। তোমার জয় অপেক্ষা করছে, শুধু তুমি হাল ছেড়ো না। --- শেষ কথা: জীবনে একবার হলেও নিজেকে বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ মন দিয়ে চেষ্টা  করো। তুমি পারবে।

এক কাপ চায়ের গল্প – ছোট থেকে বড় হওয়ার অনুপ্রেরণা

 ভূমিকা: জীবনের প্রতিটি বড় সাফল্যের পেছনে থাকে অসংখ্য ছোট ছোট প্রচেষ্টা। আজকের গল্পটি এমন একজন মানুষের, যিনি এক কাপ চায়ের ব্যবসা দিয়ে শুরু করে হয়ে উঠেছেন হাজার মানুষের অনুপ্রেরণা। --- গল্প: রাহুল নামের এক যুবক ভারতের একটি ছোট গ্রামে থাকতেন। তার পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। স্কুল শেষ করার পর আর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। অনেকেই বলেছিল, “এই ছেলে কিছু করতে পারবে না।” কিন্তু রাহুল হাল ছাড়েননি। তিনি ঠিক করলেন কিছু একটা করতে হবে। তার কাছে যা ছিল, তা হলো মনোবল আর এক কাপ চায়ের খোপ। গ্রামের রাস্তার ধারে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান দিলেন তিনি। প্রথম দিকে খুব বেশি মানুষ আসত না। কেউ কেউ হাসাহাসিও করত। কিন্তু রাহুল প্রতিদিন ভোরে উঠে দোকান সাজাতেন, চা বানাতেন মন দিয়ে, আর গ্রাহকদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। দিনে দিনে লোক বাড়তে থাকল। তার চায়ের স্বাদ আর আন্তরিক ব্যবহার মানুষের মনে জায়গা করে নিল। ধীরে ধীরে সেই একটি দোকান থেকে তিনি খুললেন তিনটি আউটলেট, তারপর একটি ছোট ক্যাফে। আজ রাহুলের নিজস্ব ব্র্যান্ডে আছে দশটিরও বেশি চায়ের দোকান। --- শিক্ষা: রাহুলের গল্প আমাদের শেখায়—জীবনে ব...

“এক কাপ চা আর এক জন মানুষের জয়” – হাল ছেড়ে দিলে জয় আসে না

 গল্পটি: রাত্রি ১১টা বাজে। ট্রেন স্টেশন প্রায় ফাঁকা। একটা ছোট চায়ের দোকানে বসে আছে একজন বৃদ্ধ লোক। তার চুল পাকাধরা, জামাটা পুরোনো কিন্তু চোখদুটো চমৎকার উজ্জ্বল। একজন যুবক স্টেশনে এসে চায়ের অর্ডার দিল, তারপর মনমরা মুখে বসে পড়লো। বৃদ্ধ জিজ্ঞেস করলেন, “কি রে বাবা, মন খারাপ কেন?” যুবক বলল, “ভাইয়া, তিনবার চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ফেল করেছি। মনে হচ্ছে আমি কিছুই পারি না...” বৃদ্ধ মুচকি হেসে বললেন, “এই দোকানটা আমি খুলেছিলাম ৫৫ বছর বয়সে। আগের ৪টা ব্যবসা লস খেয়েছিলো। সবাই বলেছিল, ছেড়ে দাও। কিন্তু আমি বলেছিলাম, যতক্ষণ আমি চেষ্টা করছি, ততক্ষণ আমি হারিনি।” চা দিয়ে বৃদ্ধ লোকটা বললেন, “এই কাপ চা খাও, আর মনে রেখো — হেরে যাওয়া মানেই শেষ নয়। হাল ছেড়ে দেওয়াটাই আসল হার।” শেষ কথা: জীবনে যতবারই তুমি পড়ে যাও, উঠে দাঁড়াও। হাল না ছাড়লেই জয় একদিন আসবেই।